পর্যটন একটি বহুমাত্রিক ও দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। প্রাগৈতিহাসিককাল থেকে মানুষ ভ্রমণের সহজাত নেশায় দেশ হতে দেশান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছে। গত অর্ধশতক জুড়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি ক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে এবং পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ পর্যটন সম্ভাবনাময় দেশ। পৃথিবীর দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, একক সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত চা বাগান, দিগন্তবিস্তৃত হাওড়-বাঁওড়, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব ও লোক শিল্প, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি ইত্যাদি দেশি—বিদেশি পর্যটকদের নিকট বাংলাদেশকে করেছে আকর্ষণীয় ও সম্ভাবনাময় পর্যটন স্থানে। সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ ও কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধনে এই বহুমাত্রিক পর্যটন ও সেবা শিল্প বিশাল ভূমিকা পালন করতে পারে। এসবের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, ২০১০ সালে জাতীয় পর্যটন নীতিমালা ও ২০১৩ সালে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠিত হয়।